মোঃ মিজানুর রহমান, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন ও হেনস্তায় জড়িতদের বিরূদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন খুলনার পেশাদার সাংবাদিকরা। পাশাপাশি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

খুলনা প্রেস ক্লাবের সহকারী সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, গৌরাঙ্গ নন্দী, মোস্তফা সরোয়ার, মামুন রেজা, মিজানুর রহমান মিলটন, মোস্তফা জামাল পপলু, বিমল সাহা, মহেন্দ্র নাথ সেন, এনামুল হক, কৌশিক দে বাপি, মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, হাসান হিমালয়, শেখ আল এহসান, অভিজিৎ পাল, রকিবুল ইসলাম মতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আমিরুল ইসলাম, শেখ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, মাকসুদ আলী, আহমদ মুসা রঞ্জু, উত্তম মন্ডল, ইয়াসিন আরাফাত রুমি, মোহাম্মদ মিলন, আশরাফুল ইসলাম নুর, এস এম আমিনুল ইসলাম, বাপ্পি খান, সাদ্দাম হোসেন, কলিন হোসেন আরজু, মেহেদী হাসান, হাসানুর রহমান তানজির, হাসান আল মামুন, বেলাল হোসেন সজল, মোঃ খায়রুল আলম, শিশির মল্লিক, জাকারিয়া হোসেন তুষার, মোঃ রফিক, কাজী শান্ত, আওয়াল শেখ, মোঃ আলাউদ্দীন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কানাই মন্ডল, দিলীপ বর্মন, রীতা রানী দাস, পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, মাহাবুবুর রহমান, সৈকত দাস, মোঃ মিন্টু, রাজু খাঁ, নব মল্লিক, মৃনাল বিশ্বাস, নিউটন মন্ডল, জামিল জোয়াদ্দার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গত কয়েক মাস ধরেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করে যাচ্ছিলেন। তার অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমেই দেশবাসীর সামনে এ করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির চিত্র ফুটে ওঠে। সোমবার (১৭ মে) তাকে মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পিতভাবে আমলারা হেনস্তা করে। প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে পরে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রোজিনা ইসলামের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি ঢাকার জন্য ওখানকার কর্মকর্তারা রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতন করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতা বিরোধী। এটি রাষ্ট্রের সংবিধান বিরোধী। তারা দুর্নীতি পরায়ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। একই সাথে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।